,

অবৈধভাবে ফুটপাত দখল পা ফেলার জায়গা নেই

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি : শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার নতুন ব্রিজ ও শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের দু’পাশের ফুটপাত অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন স্থানীয় একশ্রেণির ব্যবসায়ী। গড়ে তুলেছেন দোকানপাট ও অটোরিকশা রাখার গ্যারেজ। অনেকে আবার কোনোমতে একচালা ঘর তুলে দখল নিয়েছেন ফুটপাতের বিভিন্ন অংশ।
ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মূল সড়ক ধরে। এতে একদিকে যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই ফুটপাত দখলে নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন দখলদাররা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নতুন ব্রিজ ও শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কেউ কেউ আবার অটোরিকশার গ্যারেজ বানিয়েছেন। এতে করে সাধারণ পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে মূল সড়ক ধরে।
এই অনিয়ম দেখেও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে সম্প্রতি কোনো পদক্ষেপ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তা ছাড়া অতীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এসব ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর কীভাবে আবার সেগুলো দখলে নেওয়া হয়, এ প্রক্রিয়া চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী আরজু মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, পুরান বাজার নতুন ব্রিজ সড়কের দু’পাশে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। গেল বছরও সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তারপর আবারও দখলদাররা সেখানে স্থাপনা গড়ে তুলে দখল করে নিয়েছেন।
শাহান আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, সড়কটি দিয়ে তারা কলেজে আসা-যাওয়া করেন। অত্যন্ত ব্যস্ত এ সড়কের মূল অংশে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফুটপাত থাকার পরেও ব্যবহার করতে পারছেন না।
আলী আজম নামে এক পথচারী জানান, একজনকে দেখে আরেকজন দখলবাজিতে উৎসাহিত হচ্ছেন। বলতে গেলে প্রভাবশালীদের নাম ধরে দেওয়া হয় হুমকি। তাদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ কথা বলতে নিরাপদ বোধ করে না। এসব ফুটপাতে অবৈধ দখলদারদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে মোটা টাকার চাঁদাও আদায় করা হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাহির মিয়া জানান, শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার এলাকায় সড়কের উভয় দিকের ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যখন অভিযান পরিচালনা করা হয় তখন কিছু দিনের জন্য রাস্তা নিরাপদ থাকে, কয়েকদিন পর আবারও ফুটপাত দখল নেওয়া শুরু করেন তারা। এর স্থায়ী সমাধানে দ্রুতই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর